সূরা আন-নাসর, অর্থ ও ব্যাখ্যা

By Islam Hossain - April 13, 2021

সূরা আন-নাসর পবিত্র কুরআনের মর্যাদা সম্পূর্ন একটি সূরা। এই সূরা মক্কায় বিদায় হজ্বের সময় অবতীর্ণ হয়েছিল। কিন্তু যে সমস্থ সূরা হিজরতের পরে অবতীর্ণ হছে সেগুলা স্থান নির্বিশেষে মাদানী সূরা। এজন্য এ সূরাও মাদানি সূরা। এর আয়াত সংখ্যা তিন। সূরা আন-নাসর পবিত্র কুরআনের ১১০ তম সূরা। এ সূরার 'নাসর' শব্দ থেকে সূরাটির নাম রাখা হয়েছে আন-নাসর। 


সূরা-আন-নাসর-অর্থ-ও-ব্যাখ্যা-IslamicLife


অর্থসহ সূরা আন-নাসরঃ 


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

আল্লাহর নাম নিয়ে (আরম্ভ করছি), (যিনি) রহমান (--পরম করুণাময়, যিনি অসীম করুণা ও দয়া বশতঃ বিশ্বজগতের সমস্ত সৃষ্টির সহাবস্থানের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা অগ্রিম করে রেখেছেন), (যিনি) রহীম (--অফুরন্ত ফলদাতা, যাঁর অপার করুণা ও দয়ার ফলে প্রত্যেকের ক্ষুদ্রতম শুভ-প্রচেষ্টাও বিপুলভাবে সাফল্যমণ্ডিত ও পুরস্কৃত হয়ে থাকে)।

إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ

যখন আল্লাহ্‌র সাহায্য ও বিজয় আসছে,

وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا

আর লোকেদের দলে-দলে আল্লাহ্‌র ধর্মে প্রবেশ করতে দেখতে পাচ্ছ,

فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ ۚ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا

তখন তোমার প্রভুর প্রশংসায় জপতপ করো ও তাঁর পরিত্রাণ খোঁজো। নিঃসন্দেহ তিনি বারবার প্রত্যাবর্তনকারী।


ব্যাখ্যাঃ 

হাদিসে বর্ণিত আছে যে, সূরা আন-নাসর কুরআনের সর্বশেষ অবতীর্ণ সূরা। অর্থাৎ এরপর কোন সম্পূর্ণ সূরা অবতীর্ণ হয় নি। এ সূরাতে মক্কা বিজয়ের পর মানুষ যে দলে দলে ইসলাম গ্রহণ করেছেন, তা উল্লেখ্য করা হয়েছে। ইসলামের এ বিজয়ের ফলে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর নবুয়তী দায়িত্বের পরিপূর্ণতাও বোঝানো হয়েছে। তাই বিশিষ্ট সাহাবিগণ এ সূরা নাজিল হওয়ার পর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর অফাত নিকটবর্তী বলে বুঝতে পেরেছিলেন। মহানবী (সাঃ) এর দুনিয়াতে আগমন ও অবস্থান করার উদ্দেশ্য পূর্ণ হয়েছে বলে এ সূরায় ইঙ্গিত করা হয়েছে। এ সূরা দ্বারা আরও বোঝানো হয়েছে যে, কোন ব্যাপারে যখন আল্লাহ সাহায্য করেন তখন অনেক অসাধ্য কাজও সম্পন্ন করা সম্ভব হয়। তখন আল্লাহর প্রশংসা করা আবশ্যক। 


শিক্ষাঃ 

১। আমাদের যাবতীয় কাজে আল্লাহর সাহায্য প্রয়োজন। 

২। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া সফলতা লাভ করা যায় না। 

৩। কোন কাজে সফলতা আসলে আল্লাহর প্রশংসা ও পবিত্রতা ঘোষণা করা উচিৎ। 

৪। যাবতীয় ত্রুটি, অপরাধ বা পাপকাজের জন্য তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থণা করা উচিৎ। 


অতএব, সকল সাওয়াবের কাজ করতে ও পাপকাজ থেকে বাঁচতে আমরা আল্লাহর সাহায্য চাইব। যখন আমাদের সফলতা আসবে তখন আমরা আল্লাহর প্রশংসা করব। আর যদি কোন ত্রুটি হয়ে যায়, এর জন্য ক্ষমা প্রার্থণা করব। 


  • Share:

You Might Also Like

0 মন্তব্য বা কমেন্টস