কালিমায়ে শাহাদাত
দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে অযু করার পর কালেমায়ে শাহাদত পাঠের ব্যপক ফযিলত বিদ্যমান। অযুর পরে কালেমা শাহাদত পাঠ করা মোস্তাহাব। সহিহ মুসলিম (১/১২২) এর বর্ননা অনুযায়ী রাসূল (সাঃ) বলেছেন - "যদি কোন ব্যক্তি উত্তমভাবে অযু করার পর কালেমায়ে শাহাদত পাঠ করে তবে আল্লাহ তায়ালা তাঁর জন্য জান্নাতের ৮টি দরজাই খুলে দিবেন। সে যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারবে।"
সুনানে আবু দাউদ (১/২৩) এর বর্ননা অনুযায়ী কালেমা শাহাদত পাঠের সময় আকাশের দিকে তাকানোরও কথা আছে।
কালেমায়ে শাহাদত আরবীঃ
أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَٰهَ إِلَّا ٱللَّٰهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ
কালেমায়ে শাহাদত বাংলা উচ্চারনঃ
আশ্হাদু আল-লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু-লা-শারীকালাহু ওয়া আশ্হাদু আন্না মুহাম্মাদান আ'বদুহু ওয়া রাসূলুহু।
কালেমায়ে শাহাদত বাংলা অর্থঃ
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নাই। তিনি এক, অদ্বিতীয় এবং আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ তার বান্দা ও প্রেরিত রাসুল।
কালিমা শাহাদাত হলো ইমান ও ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের অন্যতম একটি স্তম্ভ। কালিমা অর্থ শব্দ, বাণী বা বাক্য; শাহাদাত অর্থ - সাক্ষ্য দেওয়া। কালিমা শাহাদাত অর্থ সাক্ষ্য বাণী। কালিমা শাহাদাত ফারসিতে ‘কালেমায়ে শাহাদাত’; যা মূল আরবি ‘কালেমাহ শাহাদাত’ বা ‘আল কালিমাতুশ শাহাদাত’ হতে নেওয়া।
কালিমা শাহাদাতে এই ঘোষণাই দেওয়া হয়, ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু; ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।’ অর্থাৎ ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে এক আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো মাবুদ নাই, তিনি এক ও একক, তাঁর কোনো শরিক বা অংশীদার নাই; আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি নিশ্চয়ই হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ তায়ালার অতি প্রিয় খাস বান্দা ও তাঁর প্রেরিত রাসুল।’