সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ৬। মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূরা কাফিরুন এবং সূরা ইখলাস ফজরের সুন্নতে এবং মাগরিব পরবর্তী সুন্নতে অধিক পরিমাণে পাঠ করতেন, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, "সূরা 'কুল ইয়া আইয়ুহাল কাফিরুন' কুরআনের এক চতুর্থাংশ"।
সূরাটি সকল মুসলিমদের জন্যে উদাহরণ যে, কোন পরিস্থিতিতেই তারা শত্রুর সাথে আপসে যাবে না যা ইসলাম সমর্থন করেনা এবং এমন পরিস্থিতিতে তারা এই সূরার উপদেশ অনুসরণ করবে যা তাদের (অবিশ্বাসীদের) সম্পূর্ণভাবে হতাশ করবে।
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِআল্লাহর নাম নিয়ে (আরম্ভ করছি), (যিনি) রহমান (--পরম করুণাময়, যিনি অসীম করুণা ও দয়া বশতঃ বিশ্বজগতের সমস্ত সৃষ্টির সহাবস্থানের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা অগ্রিম করে রেখেছেন), (যিনি) রহীম (--অফুরন্ত ফলদাতা, যাঁর অপার করুণা ও দয়ার ফলে প্রত্যেকের ক্ষুদ্রতম শুভ-প্রচেষ্টাও বিপুলভাবে সাফল্যমণ্ডিত ও পুরস্কৃত হয়ে থাকে)।١ قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَবলো -- ''ওহে অবিশ্বাসিগোষ্ঠী!٢ لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ''আমি তাকে উপাসনা করি না যাকে তোমরা উপাসনা কর,٣ وَلَا أَنْتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ''আর তোমরাও তাঁর উপাসনাকারী নও যাঁকে আমি উপাসনা করি।٤ وَلَا أَنَا عَابِدٌ مَا عَبَدْتُمْ ''আর আমিও তার উপাসনাকারী নই যাকে তোমরা উপাসনা কর।٥ وَلَا أَنْتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ''আর তোমরাও তাঁর উপাসনাকারী নও যাঁকে আমি উপাসনা করি।٦ لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ''তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্মমত এবং আমার জন্য আমার ধর্মমত।’’
এখানে কাফিরুন দ্বারা শুধুমাত্র ঐ সমস্ত কাফেরদেরকে বিশেষভাবে বুঝানো হয়েছে, যাদের ব্যাপারে আল্লাহ জানতেন যে, তাদের মৃত্যু কুফর ও শিরকের অবস্থাতেই ঘটবে। কেননা, এ সূরাটি অবতীর্ণ হওয়ার পর কিছু সংখ্যক মুশরিক ইসলাম গ্রহণ করেছিল এবং তারা আল্লাহর ইবাদত করেছিল।
কাফেররা মহানবী -এর কাছে যখন (নিরপেক্ষ সন্ধি) প্রস্তাব রাখল যে, এক বছর আমরা তোমার উপাস্যের ইবাদত করব এবং এক বছর তুমি আমাদের উপাস্যের ইবাদত করবে। প্রতি উত্তর থাকে, এটা কখনই সম্ভব নয় যে, আমি তাওহীদের পথ পরিত্যাগ করে শিরকের পথ অবলম্বন করে নেব; যেমন তোমরা চাচ্ছ। আর যদি আল্লাহ তোমাদের ভাগ্যে হিদায়াত না লিখে থাকেন, তাহলে তোমরাও তাওহীদ ও আল্লাহর উপাসনা থেকে বঞ্চিতই থাকবে।
যদি তোমরা তোমাদের দ্বীন নিয়ে সন্তুষ্ট থাক এবং তা ত্যাগ করতে রাজী না হও, তাহলে আমিও নিজের দ্বীন নিয়ে সন্তুষ্ট, তা কেন ত্যাগ করব? (لَناَ أَعْمَالُناَ وَلَكُمْ أَعْمَالُكُمْ) অর্থাৎ, আমাদের কর্ম আমাদের এবং তোমাদের কর্ম তোমাদের জন্য। (আল ক্বাস্বাস ৫৫ আয়াত) (তাছাড়া তোমাদের কর্ম ভ্রষ্ট এবং আমার কর্ম শ্রেষ্ঠ। আর অন্যায়ের সাথে কোন আপোস নেই।
সূরা-আল কাফিরুন সম্পর্কে বিস্তারিতঃ
- মহান আল্লাহ রাসূলে করীম (সাঃ) কে কাফিরদের ব্যাপারে কি বলেছেন?
- অবিশ্বাসী বা কাফিরদের সাথে কথা বলার আদব কি?
- অবিশ্বাসী বা কাফিরদের সাথে কথা বলার কৌশল কি?
- অবিস্বাসী বা কাফিরদের সাথে কি পন্থায় কথা বলা উচিৎ?
- কাফিরদের প্রস্তাবের উত্তর কেমন হওয়া উচিৎ?
- তোষামদ কারী কাফিরদের কথোপকথন বোঝার উপায় এবং তাঁর প্রতিউত্তর।
0 মন্তব্য বা কমেন্টস